Latest Event Updates

পঁচাত্তর পরবর্তী ইতিহাস :পত্রিকার পাতায় ছিলেন না বঙ্গবন্ধু

Posted on Updated on

১৯৭৬ থেকে পত্রিকার পাতায় নেই ৭ মার্চ ও বঙ্গবন্ধু

১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ। পত্রিকার পাতায় নেই বঙ্গবন্ধুর কোনও ছবি, নেই ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া সেই ভাষণের কোনও উল্লেখ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরের বছরগুলোয় বদলে ফেলা হয় বাংলাদেশের ইতিহাস। ১৯৭৬ থেকে দেশে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের কোনও উল্লেখ, বঙ্গবন্ধুর অবদান বা আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই।

অথচ ১৯৭৫ সালের পত্রিকাতে ছিল ইতিহাসের ৭ মার্চ। দৈনিক বাংলা প্রথম পাতা শেষের পাতায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে সংবাদ। ‘৭ মার্চ: বাংলাদেশ কাঁপানো একদিন’। পত্রিকাটি ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর দিনটিতে বিশেষ বক্স প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘স্বাধানতার ডাক মুক্তি ডাক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ। সেইদিনের পত্রিকাজুড়ে ছিল মুক্তির ডাকের ইতিহাস।

 

৭ মার্চ ১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সালের ইংরেজি পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর কোনও উল্লেখ নেই

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দ্রুত বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিবর্জিত জাতি তৈরির প্রক্রিয়া, আরেকদিকে সংবাদপত্রের পাতাজুড়ে কেবল কেমন সাংবাদিকতা হওয়া দরকার তার বয়ান। যে সাংবাদিকরা ইতিহাসের পাতা থেকে ৭ মার্চসহ ঐতিহাসিক দিনগুলোকে মুছে ফেলেছেন, তারাই আবার পত্রিকার পাতায় পাতায় কেমন সংবাদ ও সাংবাদিকতা হওয়া দরকার বললেন। এমন বক্তব্য প্রকাশ করাকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে উল্লেখ করছেন গণমাধ্যবিশ্লেষকরা। আর গবেষকরা বলছেন, ঐতিহাসিকভাবে পত্রিকাগুলো কী দায়িত্ব পালন করেছে, সেটার একটা পূর্ণাঙ্গ চিত্র আমাদের প্রকাশ করা জরুরি

৭৫ এর আগের পত্রিকায় ৭ মার্চ

৭ মার্চ ১৯৭৭ ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘আজ জে. জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ইরান সফর যাত্রা’। দৈনিক বাংলায়, বাংলাদেশটাইমসেও খবরটি জায়গা করে নিয়েছে। ৭ মার্চ ১৯৭৮ এর পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধর ডাকের কোনও উল্লেখ নেই। প্রধান শিরোনামে আবুধাবীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জ্ঞাপন আর দ্বিতীয় শিরোনামে ডিইউজের বার্ষিক সম্মেলনে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর বক্তব্য দিয়ে সংবাদ প্রচার। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান সমস্ত রাজাকার আল-বদরসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টে দিতে চেয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে প্রত্যেক জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম, আওয়ামী লীগের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা শুরু করেন তারা।

গণমাধ্যমগুলোকে কাজে লাগানো হয়। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার অংশ হিসেবেই ৭৫-পরবর্তী পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না। আর এটা করা হয়েছির স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠীকে নেতৃত্বে আনার মধ্য দিয়ে। ‍কিন্তু ইতিহাস তার নিয়মে চলবে। তার অনন্য উদাহরণ আজ। যেখানে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নাম, জয় বাংলা উচ্চারণ করা যেত না রাষ্ট্রীয় কোনও গণমাধ্যমে, সেখানে আজ সবজায়গায় বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত সত্য।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরামের সদস্য ওমর শেহাব মনে করেন, এখন সেই সময়কার সব পত্রিকার তালিকা করতে হবে। সেসব পত্রিকার যেসব সম্পাদক এখনও বেঁচে আছেন, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের মেরুদণ্ডহীনতার জন্য লজ্জা দিতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের ৭ই মার্চের পত্রিকা খুললে মনে হবে, ৫ বছর আগে সেই দিনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, বিএনপির করা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় রাজনীতি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি কতটা আজগুবি। শেহাব বলেন, সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক ক্যামেরার সামনে সহকর্মীদের চাপে পড়ে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, সর্বশেষ জরুরি অবস্থার সময় তিনিও এ ধরনের কাজ করেছেন। যদি আমরা তার আগের প্রজন্মের যেসব সম্পাদক ৭ মার্চের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন, তাদের ঠিকমতো লজ্জা আর শাস্তি দিতে পারতাম, তাহলে হয়তো নতুন করে আর কেউ এ ধরনের কাজ করত না। যেহেতু সুযোগ পেয়েছি, আরেকটি বিষয় জানাতে চাই। আমাদের সংবিধানে ৭ই মার্চের ভাষণ ঠিকমতো ছাপানো হয়নি। কিংবদন্তী প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মাহবুবুর রহমান জালাল তার ওয়েবসাইটে লাল দাগ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোথায় ভুল আছে। এই ভুলগুলো এখনও থাকা খুবই লজ্জার ব্যাপার।

পত্রিকা কৃতজ্ঞতা: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম।

স্নাতক পাসেই নিয়োগ দেবে স্কয়ার

Posted on

স্কয়ার গ্রুপ-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড তাদের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের জন্য ‘অফিসার’পদে লোক নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম >অফিসার

যোগ্যতা >অফিসার পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর যোগ্যতাস্বরূপ প্রার্থীকে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ বা এমবিএ পাস হতে হবে। আবেদনের জন্য প্রার্থীর ন্যূনতম দুই বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীর মাইক্রোসফট অফিসে কাজের দক্ষতা আবশ্যক। বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ বছর। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ঢাকায় কাজ করার আগ্রহ থাকতে হবে।

বেতন > আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদনের নিয়ম

আগ্রহী প্রার্থীদের সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত নিম্নোক্ত ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

ঠিকানা : জেনারেল ম্যানেজার, হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড, রূপায়ণ সেন্টার (১১তম তলা), ৭২ মহাখালী সিএ, ঢাকা-১২১২। অথবা প্রার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত ই-মেইল করতে পারেন (hrd-stl@squregroup.com) এই ঠিকানায়। এ ছাড়া বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময় > আগামী ১৭ আগস্ট, ২০১৯

আর্জেন্টিনাকে কোচিং করাতে চান মারাদোনা

Posted on Updated on

mradona

Posted on

দারিদ্র্যকে জয় করে যারা স্বপ্ন পূরণ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ‘শ্যামলী পরিবহনের’ চেয়ারম্যান গনেশ চন্দ্র ঘোষ। চুয়ালি্লশ বছর আগে একটি জীর্ণ পুরাতন স্কুটার থেকে একটি চকচকে নতুন বাস কেনার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার অভাবী ঘরের সেই গনেশ চন্দ্র ঘোষ আজ গোটা দেশের পরিবহন খাতের এক দিকপাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। […]

via দারিদ্র্য জয়ের গল্পঃ স্কুটার চালক থেকে যেভাবে আজ ‘শ্যামলী পরিবহন’র মালিক — মতামত

এবার নিজেই করুন নিজের পাসপোর্ট

Posted on Updated on

পাসপোর্ট কি এবং করতে হলে কি করব?

পাসপোর্ট হল একজনের আইডেন্টিটি কার্ড যা পৃথিবীর সব দেশে গ্রহণযোগ্য। সহজ কথায়, যেকোন বাইরের দেশে ঘুরতে/পড়াশোনা/অন্য কোন কাজে যেতে হলে পাসপোর্ট লাগবেই। এখন কাজের কথায় আসি। আপনি চিন্তা করছেন, পাসপোর্ট করবেন কিভাবে করবেন? পাসপোর্ট নিয়ে ডেডিকেটেড একটা সিম্পল পেজ আমি পাই নি। আর পাসপোর্ট অফিসের কথা আর কি বলব, পুরা বিশৃঙ্খল একটা জায়গা। তবে আগের মত দালালের প্রকপ নেই এখন আর তেমন। শুধু মিস ম্যানেজমেন্ট আছে।

প্রথমেই জেনে নিই,

MRP বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কি?

MRP = Machine Readable Passport হচ্ছে এমন একটি পাসপোর্ট যাতে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এমনভাবে ছাপানো হয় যা খালি চোখে পড়া যায় এবং একই সাথে এতে রয়েছে একটি “মেশিন রিডেবল জোন” যা পাসপোর্ট বহনকারীর ব্যক্তিগত সকল তথ্যবিবরণী ধারণ করে। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কম্পিউটারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানাসমূহে এই তথ্যাবলী পড়া যায়। পাসপোর্টধারীর তথ্যগুলো এমন ভাবে প্রিন্ট করা থাকে যেন তা খালি চোখেও পড়া যায়, আবার একই সাথে মেশিন রিডেবল জোনে এমন ভাবে ছাপা থাকে, একটি বিশেষ যন্ত্রই শুধু তার পাঠোদ্ধার করতে পারে। MRP করার জন্য আবেদনকারীর স্ব-শরীরে পাসপোর্ট অফিসে হাজির হতে হয়।

MRP আগের চেয়ে ভিন্ন কেন?

  • আবেদনকারীর ছবি, আঙুলের ছাপ এবং স্বাক্ষর ডিজিটাল ফরমেটে সংগ্রহ করা হয়
  •  অনুমোদন পদ্বতি ইলেকট্রনিক
  • কেন্দ্রীয় পারসোনালইজেশন
  • তৎক্ষনাৎ মনিটরিং ব্যবস্থা
  • আপটুডেট রিপোর্টিং ব্যবস্থা
  • অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবস্থা

বুজছি তো, এবার কন ক্যাম্নে করুম?

 

বাংলাদেশী পাসপোর্ট করার নিয়মাবলিmaxresdefault-1

সবার প্রথমে যেটা লাগবে, সেটা হল ধৈর্য্য এবং পাসপোর্ট করার একটা ক্লিয়ার কনসেপ্ট।

১ম ধাপ : টাকা জমা দেওয়া

  • অনলাইনে পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে টাকা জমা দিতে হবে। নাহলে পূরণ করার পর সেভ করে কয়েকদিন পর টাকা জমা দিতে গেলে ফেইলড দেখায়। অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেওয়ার তারিখ , ব্যাংকের নাম , ব্যাংকের শাখা এবং জমা দানের Receipt ID নম্বর উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়। তাই ফর্ম পূরণের আগে টাকা জমা দিলে ভাল। যেদিন পাসপোর্ট জমা দিবেন সেদিন সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাবেন না। বিশাল ঝামেলা। তারচেয়ে বর্তমানে এই পাঁচটি ব্যাংকের সবকটি ব্যাংক পাসপোর্ট ফি জমা নেয়, ব্যাংকগুলির যেকোন একটিতে জমা দিন। ব্যাংকগুলো হল
    1. Dhaka Bank
    2. Bank Asia
    3. Premier Banত
    4. One Bank and
    5. Trust Bank
  • রেগুলার ফি ৩,৪৫০ টাকা  এবং জরুরি পাসপোর্ট করতে হলে তার ফি ৬,৯০০টাকা। সামনে সরকার ফি বাড়াতে পারে।
    রেগুলার ফিতে পাসপোর্ট পেতে সময় দেয়া থাকে আবেদনের দিন থেকে ২১ দিন (কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেতে বিলম্ব ও অন্যান্য কারনে পাসপোর্ট পেতে  বর্তমানে  কমপক্ষে ১ মাস অথবা বেশি লাগে ),
    জরুরিভিত্তিতে করতে চাইলে আবেদনের দিন থেকে ১০ দিন পর পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ দেয়া হয় ( কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেতে বিলম্ব ও অন্যান্য কারনে পাসপোর্ট পেতে  বর্তমানে  কমপক্ষে ১৫ কার্যদিবস লাগেই ) ।
  • সোনালী ব্যাংক সহ উপরের ৫টি ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা নেয়া হয় ।
  • ব্যাংকের রিসিট ২-১ টি ফটোকপি করে রাখুন ।
  • বর্তমানে অনলাইনেও পাসপোর্ট আবেদনের টাকা জমা নেয়ার ব্যবস্থা আছে কিন্তু আমি করি নি। DBBL/অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে দিয়ে পেমেন্টের ব্যবস্থা নেই দেখে করতে পারি নি।

২য় ধাপ : অনলাইনে ফর্ম পূরণ করা

  • অনলাইনে ফর্মপূরণের জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের http://www.passport.gov.bd/ সাইটে যেতে হবে ,
    তারপর “I have read the above information and the relevant guidance notes” টিক চিহ্ন দিয়ে
    “continue to online enrollment” এ ক্লিক করতে হবে। তার আগে অবশ্যই ওখানে দেওয়া তথ্যগুলো ভালভাবে পড়ে নিন, বুঝে নিন। তাড়াহুড়া করবেন না।
  • এনরোলমেন্ট হয়ে গেল নতুন পৃষ্ঠা আসবে যেখানে নামসহ অন্যান্য জিনিস পূরণ করতে হবে। আমি যেগুলো শুধু কনফিউজিং মনে হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে লিখছি
  • সাধারণ পাসপোর্ট (মানে নরমাল – যেটা বেশিরভাগই করবেন) পার্সপোট টাইপ দিতে হবে “ordinary”
    Ordinary এর নিচেই Supporting Document থাকবে।
  • সরকারী পাসপোর্ট না হলে এখানে কিছু সিলেক্ট করবেন না, মানে “Select” ই সিলেক্ট করা থাকবে। এটি ম্যান্ডেটরি নয়।passport-1
    • Delivery Type অংশে ২১ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১০ দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।
    • আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি- যেমন: নামের বানান,  পিতা-মাতার নাম যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো একই হয়। কোনো তথ্য ভুল হলে পাসপোর্টে হতে সমস্যা হবে।পাসপোর্টের নাম যেমন হবে:

      আমি যেদিন জমা দিতে গিয়েছি সেদিন কমপক্ষে ৩০-৪০ জনকে ফিরিয়ে দিয়েছে এই ভুলের কারণে। এই বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়া জরুরি। আপনার এস.এস.সি/এইচ.এস.সি সার্টিফিকেটে নাম যেমন সেই নামটাই দিবেন। কিন্তু একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে আমাদের দেশে সবার নামে MD. বলে একটা অংশ থাকে। বাইরের দেশে নামের মধ্যে ডট থাকে না। তাই পাসপোর্টেও ডট এক্সেপ্ট হবে না। সুতরাং আপনার নাম যদি MD. Hasinuzzaman Hasin হয় তাহলে আপনার পাসপোর্ট নাম MD Hasinuzzaman Hasin হবে। এর জন্য বাইরের ইউনিভার্সিটি/কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।

      ফাস্টনেম – লাস্টনেম/Surname পূরণ

      ধরা যাক আপনার নাম Md. Hasinuzzaman Hasin তাহলে এক্ষেত্রে একটি সহজ সূত্র ফলো করুন। নামের শেষ শব্দ বাদে যা আছে সব ফার্স্ট নেম। শেষ শব্দটা লাস্টনেম/Surname. তাহলে এক্ষেত্রে

      Applicant Name: MD HASINUZZAMAN HASIN

      First Name: MD HASINUZZAMAN (খেয়াল করুন, ডট বাদ গেছে)

      Surname: HASIN

      একই ভাবে কারও নাম Md. Zayed Imam Rahat হলে,

      Applicant Name: MD ZAYED IMAM RAHAT

      First Name: MD ZAYED IMAM (খেয়াল করুন, ডট বাদ গেছে)

      Surname: RAHAT

      হাইট পূরণ

      হাইট সেন্টিমিটার/ইঞ্চিতে পূরণ করতে হয় তাই কত ফুট সেটাকে ইঞ্চিতে কনভার্ট করে তারপর পূরণ করুন।

      বাকি অংশ পূরণ

      • মেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল নম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি দেওয়া উচিত। যে অংশগুলো লাল স্টার মার্ক (*) দেওয়া রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। তারপর ভালমত বুঝে বুঝে সাবধানে প্রতিটি প্রয়োজনীয় ধাপে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরন সম্পন্ন করুন ।
      • বিবাহিত হলে Spouse এর ঘরে আপনার স্ত্রীর নাম লিখবেন।
      • সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ হলে পুনরায় এটি চেক করতে হবে। সব তথ্য টিক আছে কি না, তা যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
        সবশেষে পূরণ করা ফর্মটি সাবমিট করতে হবে। সফলভাবে সাবমিট করা হলে পূরণ করা ফর্মের একটি পিডিএফ কপি
        যে ই-মেইল আইডি দিয়ে ফর্ম পূরণ করা হয়েছে, সেখানে চলে আসবে। সাবমিট করলে পিডিএফ কপি ডাউনলোডের লিঙ্ক দেয়া থাকবে অথবা উক্ত ওয়েবসাইট থেকে পরবর্তীতে Application ID ও Password দিয়ে আবেদন ফর্মের পিডিএফ কপি যতবার ইচ্ছা ডাউনলোড করা যাবে ।
      • অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ছবি তোলার তারিখ নির্ধারন করার অপশন নাই। কারন যেদিনই আবেদনপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যাবেন ওই দিনই আপনার ছবি তোলা সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য আপনাকে একটি আলাদা ডকুমেন্ট দেবে এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও ডকুমেন্টে লিখা থাকবে । উল্লেখ্য: পাসপোর্ট জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই রঙিন/ডার্ক কালারের শার্ট পরে যাবেন কারণ সাদা শার্ট পরলে ছবি তুলবে না। কারণ যেখানে ছবি তোলা হয় তার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।
      • ৩য় ধাপ : ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়নimages

        • এবার পাসপোর্ট আবেদনের পিডিএফ কপির ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট করার সাথে সাথে ফর্মগুলো স্ট্যাপলার করবেন না কারণ কাজ আছে। দুটি ফর্ম আলাদা আলাদা ফাইলে রেখে দিন। দুইটি ফর্মেরই প্রথম পৃষ্ঠার ১ নম্বর স্থানে আবেদনকারীর নাম কলম দিয়ে বাংলায় লিখতে হবে এবং ৩ নম্বর পাতায় স্বাক্ষর করার স্থানে আবেদনকারীকে সই করতে হবে।
        • এবার  আবেদনকারীকে নিজের  ৫৫ × ৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) একটি করে উভয় ফর্মে  আঠা দিয়ে লাগানোর পর দুটো ফর্মই সত্যায়িত করতে হবে।ছবিটি এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সীলমোহর এর অর্ধেক অংশ ছবির উপর আর বাকি অর্ধেক অংশ ফরমের কাগজে থাকে। পরিচিত কাউকে দিয়ে সত্যায়ন করালে ভাল । কারন উভয় আবেদনপত্রের ৪ নম্বর পৃষ্ঠায় সত্যায়নকারী কর্মকর্তার নাম, আবাসিক ঠিকানা ও ফোন নম্বার, পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর , স্বাক্ষর ও সীল লিখে নিতে হবে ।সত্যয়ন করার নিয়ম: Attested, সত্যয়নকারীর স্বাক্ষর, ডেট এবং নিচে সিল
          (অনেককে সত্যায়ন ঠিক হয় নি বলে ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছিল) 
        •  **যে সকল ব্যক্তিগণ পাসপোর্টের আবেদনপত্র ও ছবি প্রত্যায়ন ও সত্যায়ন করতে পারবেন – সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, গেজেটেড কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও পৌর কাউন্সিলরগণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, নোটারী পাবলিক ও আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম ও তদুর্ধ্ব গ্রেডের গ্রেডের কর্মকর্তাগণ।
        • যা যা সত্যায়ন করতে হবে (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

        স্টুডেন্ট হলে (প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট ২ কপি করে করতে হবে)

        1. এস.এস.সি সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি
        2. এস.এস.সি টেস্টিমোনিয়ালের ফটোকপির সত্যায়িত কপি
        3. জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত কপি
        4. ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকলে কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি

        চাকরিজীবী হলে (প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট ২ কপি করে করতে হবে)

        1. এস.এস.সি সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি
        2. এইচ.এস.সি সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি
        3. জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত কপি
        4. ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকলে কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি
        5. অনার্স ডিগ্রির সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি
        6. যেখানে চাকরী করেন সেখানকার প্রত্যয়নের সত্যায়িত কপি

        ডকুমেন্ট সত্যায়িত করা হয়ে গেলে পাসপোর্টের ৪ নম্বর পাতার শেষে এগুলো সব লাগিয়ে স্ট্যাপলার করুন। এরকম ২ সেট হবে।

        ব্যাংক স্লিপ লাগানো

        Fevistick/Gum দিয়ে পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠার ১ নং পৃ্ষ্ঠায় ডানে বারকোড নং এর নিচে ব্যাংকের রিসিট লাগান। শুধু রিসিটের উপরের দিকে আঠা লাগাবেন যাতে নিচের দিক থেকে রিসিট উঠিয়ে ডাটাগুলো পড়া যায়। দুই পাসপোর্ট ডকুমেন্টেই লাগান, যদি রিসিট একটা দেয় তাহলে আরেক কপি ফটোকপি করে লাগান।

         

        ৪র্থ ধাপ : ফর্ম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া

        এইখান থেকে প্যাড়া শুরু। 🙁 সকাল সকাল ৯টার মধ্যে চলে যাবেন। অবশ্যই একটা ব্যাগে কলম, আঠা (Fevistick) এবং স্ট্যাপলার রাখবেন। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্ট্যাপলার নিয়ে বসে থাকে। ১টা স্ট্যাপল – ৬টাকা, আঠা ৫টাকা। :/ দালাল হতে সাবধান। নানাভাবে প্রলোভন দেখাতে পারে। কোন কথাতে কান দিবেন না।

        1. ধরা যাক আপনি সকাল ৮:৫৫ মিনিটে অফিসে যেয়ে পৌঁছালেন। তখনও পাসপোর্ট অফিস খুলে নাই। তবে গেটে যাওয়ার সময় মানে গেটে ঢুকতেই গ্যারেজে একটা সিরিয়াল পেয়ে যাবেন (১তলায়)। এটা Pre Entrance Serial. আজকের দিনে কত নম্বর ব্যক্তি আপনি সেটার জন্য ব্যবহৃত হয়। সিরিয়াল দিয়ে ভিতরে ঢুকার সময় একটা সিল মেরে দিবে প্রিন্টেড কপিতে।
        2. সিল নিয়ে আপনাকে ৩ তলায় যেতে বলবে। (যদি না বলে কর্তব্যরত আনসারদের জিজ্ঞাসা করবেন, অন্য কাওকে নয়)। ৩ তলায় গেলেই আসল লাইন পাবেন। সর্ববামের টা এক্সপ্রেস দের লাইন আর সবচেয়ে ডানের টা MRP Regular এর লাইন। Express হলে বামে আর Ordinary হলে ডানে দাঁড়িয়ে যান।
        3.  ফর্ম ভেরিফাই করে এখানে। লাইন বড় হতে পারে তবে ধৈর্য্য নিয়ে দাঁড়ান এবং সিরিয়াল আসলে অফিসারকে ২ কপি প্রিন্টেড কপি উইথ ডকুমেন্টস তার কাঁছে দিন। তিনি সব চেক করবেন এবং কয়েকটি প্রশ্ন করতে পারেন যেমন:
        4. – কেন পাসপোর্ট করছেন?
          – এখন কি করেন?
          – সত্যয়নকারী আপনার কি হয়? কিভাবে চিনেন?
          প্রশ্নগুলোর সঠিক জবাব দিন। তাহলে উনি ভেরিফাই করে সিল মেরে দিবেন এবং এরপর ১ তলায় যেতে বলবে ছবি তোলার স্লিপ আনার জন্য।

4. এখানের কাজ সহজ। একজন থাকে যিনি কাগজে সিল মেরে ৫ তলায় পাঠিয়ে দেন ছবি তোলার জন্য।

5. ৫ তলায় যান, আবার লাইন দিন – ছবি তুলুন। যে ছবি তুলবে সে প্রিন্টেড কপি দিবে পাসপোর্ট কবে দিবে সেটি জানিয়ে দিবে।

তথ্যসহায়তায়: saiftheboss 🙂

 

 

দাগ, খতিয়ান, জমা খারিজ, নামজারি, কিভাবে করে জানুন

Posted on Updated on

porcha

“পর্চা” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে“পর্চা” বলে।

“নামজারী” কাকে বলে?

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।

“জমা খারিজ”কাকে বলে?

যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

“খতিয়ান” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান” বলে।“খতিয়ান” প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে CS, RS, SA  এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান

“মৌজা” কাকে বলে?

যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা আলাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।

“তফসিল” কাকে বলে?

জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।

“দাগ” নাম্বার কাকে বলে?
যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে নাম্বার বলে। একেক নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়।

“ছুটা দাগ” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি একত্র করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা বলে।

“আমিন” কাকে বলে?

ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিযুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।

“খাজনা” ককে বলে? সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।

“দাখিলা” কাকে বলে?

ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম নং১০৭৭) ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।

DCR কাকে বলে?

ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।

“কবুলিয়ত” কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।

“নাল জমি” কাকে বলে?

২/৩ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়।

“খাস জমি” কাকে বলে?

সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।

“চান্দিনা ভিটি” কাকে বলে?

হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে।

“ওয়াকফ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে

“মোতয়াল্লী” কাকে বলে? যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে। ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না।

“দেবোত্তর” সম্পত্তি কাকে বলে?

হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।

“ফারায়েজ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।

“ওয়ারিশ” কাকে বলে?

ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী। ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরণ করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।

“সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন ওই জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

“পয়ন্তি” কাকে বলে?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।

“দলিল” কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে।

তথ্যসুএ: অনলাইন

দুটো জীবন বাঁচানোর ত্বরে জীবন দিলো বাদল

Posted on

badol

বাদল

লোকটা দেখতে কি ক্ষ্যাত তাইনা? সাদা ময়লা শার্ট, পকেটে আবার পান বিড়ি রেখে কুল ড্যুড মার্কা সানগ্লাস পরে ছবি তুলেছে!! কি হাস্যকর! মানুষ পারেও। সানগ্লাস পরে ইকটু হিরো হবার চেষ্টা আর কি!

হ্যা! হিরোই। সত্যিকারের হিরো। সত্যিকারের একজন লিজেন্ড। আগামি এক শতাব্দি পরে যদি নানি দাদিরা কোন রুপকথার গল্প বলে তার নাতি নাতনী দের এই মানুষটার কথা বলতে হবে। এই মানুষটার নাম বাদল

হ্যা সত্যিকারের বাদল! সুর্যালোকের প্রতিচ্ছবি। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার জন্ম তার। রেলের কর্মচারি।

কেন তিনি হিরো জানেন? তিনি গতকাল নিজের জীবন তুচ্ছ করে, বিলিয়ে দিয়ে আরো দুটো জীবন বাঁচিয়েছেন। মৃত্যু নিশ্চিত বুঝেও পিছ পা হননি। কুড়িল বিশ্বরোড রেল ক্রসিং এর এক পাশ হতে মৃত্যু হুঙ্কার দিয়ে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে লৌহ দানব ট্রেন আর এদিকে বেখেয়ালে রেল ক্রসিং পার হচ্ছে এক মা আর তার শিশু সন্তান। কেউ একজন মা কে টান দিয়ে সরিয়ে ফেলে। বাচ্চাটা থেকে যায়। দানব মাত্র ১০/১২ ফুট দূরে! সব ফেলে নিজের জীবন কে বাজি রেখে এই বাদল ছুটে গিয়ে এক ধাক্কা দিয়ে শিশুকে রেললাইনের বাইরে ঠেলে দেয় কিন্তু বাজিতে নিজেকে আর রক্ষা করতে পারেনি। ধাতব ট্রেন চলে যায় পরে রয় বাদলের ছিন্ন ভিন্ন দেহ…..।

আমাদের সত্যিকারের হিরো। আমাদের শতবর্ষের গল্প। আমাদের সন্তানকে যার গল্প শুনিয়ে বলতে পারবো মানুষ হতে হবেনা, বাদল হও। বাদলের মত হও।
( কৃতজ্ঞতায় সাইফুর রহমান সোহাগ) ফেসবুক থেকে সংগৃহিত

মৃত্যুর ২৪১৫ বছর পরে রায় দিল ,আদালত সক্রেটিস নির্দোষ

Posted on Updated on

2বছরের পর বছর জেল খাটার পরে অনেকেই বেকসুর খালাস পান। ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরেও অপরাধ প্রকৃত দোষী কি না, তা নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার প্রায় ২৪১৫ বছর পরে কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন?

চমকে উঠছেন তো? তাহলে সাজাপ্রাপ্তের নামেও আরও বড় চমক রয়েছে। কারণ মৃত্যুদণ্ডের ২৪১৫ বছর পরে গ্রিসের একটি আদালত জানাল, সক্রেটিস নির্দোষ ছিলেন।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালে গ্রিসের আথেন্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দার্শনিক সক্রেটিস।  প্রাচীন গ্রিসে সক্রেটিসের বিরুদ্ধে তরুণদের ভুলপথে চালিত করা, ধর্মের অপব্যাখ্যা এবং দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল। সক্রেটিস এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছিলেন, যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমী সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু প্রাচীন গ্রিসের শাসকরা সক্রেটিসের তত্ত্বগুলিকে মানতে চায়নি।

আথেন্সের তৎকালীন আরাধ্য দেবতাদের নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সক্রেটিস। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারী শাসকদের সমর্থনেরও অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও বলা হয় যে, সক্রেটিস নির্দোষ হলেও মুখ বুজে বিচারকদের রায় মেনে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে পালানোর সুযোগ পেলেও আথেন্স ছেড়ে যাননি তিনি। তাছাড়া, তরুণদের বিপথে নিয়ে যাওয়া, নতুন দেবদেবীদের সম্পর্কে প্রচার করা-সহ সক্রেটিসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর স্বপক্ষে আদালতে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ বিচারপর্বে তুলে ধরা যায়নি বলেই অভিযোগ ওঠে। হেমলক বিষপান করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ মাথা পেতে নিয়েছিলেন সক্রেটিস। তিনি সত্যিই দোষী ছিলেন কি না, সেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য গত শুক্রবার আথেন্সের ওনাসিস ফাউন্ডেশনের একটি আদালতে ফের নতুন করে বিচারব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিচারেই সক্রেটিসকে সম্পুর্ণ নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে ওই আদালত।
সক্রেটিসের সমর্থনে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘‘কোনো ব্যক্তির অভিমত অপরাধ হতে পারে না। সক্রেটিস সত্যের সন্ধান করতেন। আর তা করতে গিয়েই তিনি তাঁর নিজস্ব মত তুলে ধরতেন। তবে আমার মক্কেলের একটাই দোষ, তিনি উস্কানিমূলক কথা বলে মানুষকে খ্যাপাতেন। আর সবসময় বাঁকা বাঁকা কথা বলতেন। যেমন- তিনি বলতেন, ‘দেখাও তোমাদের গণতন্ত্র কতটুকু খাঁটি ও বিশ্বাসযোগ্য’ ইত্যাদি।’’ কিন্তু তিনি আরও বলেন যে সাধারণ মামলাকে জটিল করার জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেওয়াটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’’

সক্রেটিসের হয়ে এই মামলায় ফ্রান্সের এই বিখ্যাত আইনজীবী সওয়াল করেন। উল্টোদিকে গ্রিস-সহ বেশ কয়েকটি দেশের আইনজীবীরা সক্রেটিসের বিরোধিতা করেন। এই মামলার বিচারের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপীয় বিচারকদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। দীর্ঘ বাদানুবাদের পরে সক্রেটিসের আইনজীবীর যুক্তিতেই সিলমোহর দেন বিচারকরা। গত বছর নিউইয়র্কের একটি আদালতেও সক্রেটিস নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন।

#সংগৃহিত

 

রাতুয়ার জুইয়ার ভালোবাসার যোগ বিয়োগ

Posted on Updated on

রাতুল চলো না আজ সিনেমা দেখতে যাই!

আজই বসুন্ধরায় এই এ্যানিমেশন ছবিটা এসেছে। কি যেন নাম ভুলে গেছি…এই আমার রাতুয়া চলো না বলছি। তাড়াতাড়ি রেড়ি হও

রাতুল: জুহি আজ না, আজ কেন জানি মুভি দেখতে ইচ্ছে করছে না । অন্যদিন যাবো নে তোমাকে নিয়ে জুইয়া.. তুমি পরবে আমার পছন্দের নীল রংয়ের শাড়ি, হাতে থাকবে রেশমি ছুড়ি,

– কোপায় থাকবে একগুচ্ছ বেলিফুল হাতে রবে একটা টকটকে লাল গোলাপ!!!
-না না না না এসব বলে আজ লাভ নাই আমি আজিই যাবো।maxresdefault

– জেদ করছো কেন জুইয়া! অন্যদিন যাই না. চলো আজ আমরা কোন প্রকৃতির ছায়াতলে একে অন্যর হাতে হাতে রেখে ছলে যায় দুরে প্রকৃতির আরও গভীরে, যেথায় শুধু রবো আমি আর তুমি আর আমাদের ভালোবাসা!!!
– জি না! এসব আলগা পিরিতি শুনতে চাই নাই! রেড়ি হও আমি এখনই যাবো !
— আচ্ছা আজ গেলে কি সমস্যা হবে শুনি তোমার. আর কোনও কথা শুনতে চাই না আমি বাসায় যাচ্ছি শাড়ি পড়ে আসতেছি। তুমি রেডি হও। ব্যস কথা ফাইনাল।

–জুই আমার কথাটা বুজার চেষ্টা করো একটু .. আজ না অন্য আর একদিন যাই আমরা প্লিজ। মনে মনে রাতুল( জানি আজই যাবে জুইয়া সে কারো কথাই শুনবে না আজ …আমার ও তো ইচ্ছে করে তোমাকে নিয়ে সারাটিক্ষণ সারাটি দিন, সারাটি রাত, সারাটি মুহূর্ত তোমার সাথে কাটাতে কিন্তু সব চাইলে তো এখন আর পারি না..

এই যে মনের চাওয়া আজ তোমার হাতে হাত রেখে ছবি দেখা. কিন্তু সেটাও সম্ভব না.. জুইয়া তিমি কি জানো গত মাস থেকে আমার চাকরিটাও চলে গেছে.. সে কথা আমি তোমাকে কোন মুখে বলি.. প্রতি মাসে আমাকে বাড়িতে কিছু টাকা পাটাতে হয় কিন্তু এই মাসে একতা টাকাও পাটাতে পারি নাই। ছোট ভাইটা ফোন দিয়ে বলে, ভাইয়া আমার সামনে পরীক্ষা ফি দিতে হবে.. তুমি কবে টাকা পাটাবা.. ভাইয়া ,,
-আমি উওর দিতে পারি না. আম্মাটা হটাৎ করে একটু অসুস্থ হয়ে পড়লো। বড় বোনটার স্বামীও তেমন একটা ভালো নাই।

তার ও একটা চাকরি দরকার গ্রামের দিকে.. বার বার আমাকে বলতেছে.. যেন তার স্বামীর জন্য একটা ভালো চাকরি দেখি,, সামনে চলে আসছে ঈদ,, আমি কি করি এখন.. নোংরা রাজনীতি করিনাই বলে আজ আমার চাকরি নেই. আজ আমি বেকার..
— জুইয়ের চেষ্টায় যাও এই ভালো চাকরিটা পেলাম আজ সেটাও নেই..)
— ক্রিং ক্রিং ক্রিং জুইয়ের ফোন(বেজেই চলছে রাতুল ফোন রিসিভ করার সাহস পাচ্ছে না, ফোন দরে সে কি বলবে..?

জুই তো শাড়ি ছুড়ি পরে রেডি হয়ে আছে,,
কিন্তু আমার হাতে তো টাকা নেয় যে এখান থেকে জুইয়ের বাসা পর্যন্ত যাবো..বসুন্ধরা তো বহু দুরের কথা 😦
– রাতুল গভীর চিন্তায় মগ্ন.. কি করবে সে এখন?
একদিকে জুইয়ার ফোনের উপর ফোন অপরদিকে নিজের এই অবস্থা..
এর মধ্যই হটাৎই বাসার কলিং বেল বেজে উঠলো.. অতঃপর…
চলবে…

1782

কালের আবহে হারিয়ে যাচ্ছে কাবাডি

Posted on Updated on

হাডুডু বা কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা।কিন্তু কালক্রমে এই খেলার কদর হারিয়ে যেতে বসেছে। দশ বছর আগেও স্কুল ভিত্তিক আন্তঃজেলা বা থানা কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন চোখে পরত।

arjansoul_1356240514_7-hadudu

বর্তমানে সেটাও চোখে পরে না। কাবাডির উৎপত্তিস্থল ফরিদপুর, আবার কেউ কেউ বলেন বরিশাল। উৎপত্তিস্থল  যাই হউক,বাংলাদেশের সর্বত্র এই খেলার প্রচলন আছে।

হাডুডু খেলার শুরুতে খেলোয়াড়দের দুটি দলে ভাগ করে নিতে হয়। প্রতিটি দল তাদের দলনেতা নির্বাচন করে। নেতার অধীনে দু দলে সমন সংখ্যক খেলোয়াড় থাকে। সাধারণত খেলোয়াড় থাকে ১২ জন।

তবে প্রতিবার সাত জনের দল নিয়ে খেলতে হয়। দু পক্ষের দু দল মুখোমুখি অর্ধ বৃত্তাকারে দাঁড়ায়। খেলা শুরু হলে একপক্ষ দম রেখে হাডুডু বা কাবাডি বলতে বলতে ডাক দিতে থাকে এবং মধ্যরেখা পার হয়ে বিপক্ষের কাউকে ছুঁয়ে দম থাকা অবস্থায় দ্রুত পালিয়ে আসতে চেষ্টা করে।কাবাডি-kabadi-615x330

যদি কাউকে ছুঁয়ে আস্তে পারে তবে সে ‘মরা’ বলে গণ্য হয়। আবার আক্রমণকারী যদি বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের হাতে ধরা পরে তবে সেও মরা বলে গণ্য হয়।

একজন মরা আর খেলতে পারবে না, তাকে কোটের বাহিরে অপেক্ষা করতে হবে। যদি মরা দলের কেউ প্রতিপক্ষের কাউকে ছুঁয়ে আসতে পারে তবে মরা পুনরায় বেঁচে যাবে। আক্রমণে পরাজিত হওয়াকে মরা এবং বিজয়ী হওয়াকে বাঁচা বলে। এই খেলার মজার একটা নিয়ম আছে।

সেটা হল ৮০ কেজি বেশি ওজোনের কাউকে এই খেলায় নেয়া হয় না। এই খেলা পরিচালনা ও বিচারকার্য করে থাকেন একজন রেফারী, দুইজন আম্পায়ার, একজন স্কোরার।

কাবাডি খেলার জন্য দরকার একটা মাঠের যার সাইজ, ৪২ ফুট লম্বা ও ২৭ ফুট চওড়া। মাঠকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভাগকে কোট বলা হয়।images

পুরো কাবাডি খেলা হয় ৪৫ মিনিট (২০ মিনিট + ৫মিনিট + ২০ মিনিট)
মাঝের ৫ মিনিট বিরতি।এই খেলার কিছু জনপ্রিয় দম বা বুলি নিম্নরুপঃ হাডুডু ভাই

চিড়া মুরি খাই

চিড়ার গরমে

মাথা ঘুরায়..

গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্য এই কাবাডি আজ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা চাই আমাদের জাতীয় খেলা বেঁচে থাকুক আজীবন।